জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় এবং তাদের ভুতুরে রেজাল্টঃ-
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় একটা ভুতুরে শিক্ষাবোর্ডে
পরিণত হয়েছে। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কতৃপক্ষের
শিক্ষার্থীর প্রতি সুদৃষ্টি যেমন নেই তেমন খাতার
প্রতিও নেই সঠিক মূল্যায়ণ’ও। আর এসব ঠিক
মতো না করার জন্য অনেক শিক্ষার্থী মানসিক
অবসাদে ভুগছেন।
আমরা যদি ২০১২-১৩,
১৪,১৫,১৬,১৭ সেশনের দিকে তাকাই তাহলে
দেখতে পারবো লক্ষাধিক শিক্ষার্থী ১ এবং ২
বিষয়ে অকৃতকার্য থাকার জন্যে অনার্স সম্পন্ন
করতে পারছেন না।
সবার অভিযোগ একটাই; ইম্প্রুভ বিষয়ে বারবার
ভালো পরীক্ষা এবং সকল প্রশ্নের উত্তর দেবার
পরেও সেই বিষয়ে পাশ আসছে না। বারবার
কেনো ফেইল করিয়ে দেওয়া হচ্ছে?
একজন শিক্ষার্থী পরীক্ষা দেওয়ার পরেই বুঝতে
পারে যে সে কেমন মার্ক পেতে চলেছে। একটা
বিষয়ে ভালো পরীক্ষা দেবার পরও B, C দিচ্ছে
আবার কোনো বিষয়ে খারাপ পরীক্ষা দেওয়ার
পরেও সে বিষয়ে A+, A দেওয়া হচ্ছে।
আবার কেউ কেউ ইম্প্রুভ বিষয়ে ভালো পরীক্ষা
দেওয়ার পরেও বারবার ফেইল আসছে। কেনো?
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কতৃপক্ষ একটা সিস্টেম
চালু করেছে। কেউ কোনো বিষয়ে ফেইল করলে
পুনঃনিরীক্ষণ এর জন্য আবেদন করার সুযোগ
রাখছে। এতে করে বেশীর ভাগ শিক্ষার্থী আবেদন
করছে। বিশেষ করে ফাইনাল ইয়ারে এসে অনেক
শিক্ষার্থী এক বিষয়ে ফেইল থাকার জন্য
পুনঃনিরীক্ষণ এর জন্য আবদেন করে থাকেন।
এতে শিক্ষার্থী শিউর থাকেন যে সে এই বিষয়ে
ভালো মার্ক পাবে। অন্তত ডি দিয়ে পাশ করার
কথা। এই আবেদন সম্পন্ন করতে ৮০০৳ ফি জমা
দিতে হয়। যখন বাবার শরীর বেয়ে পড়া ঘামের
কষ্টের টাকা দিয়ে আবেদন করার পরও কোনো
সুফল পায় না তখন এর দায়ভার জাতীয়
বিশ্ববিদ্যালয় কতৃপক্ষের উপরই বর্তায়।
এর জন্য দায়ী জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সংশ্লিষ্ট
কর্মকর্তাগণ। তাহলে কি তারা খাতার সঠিক মূল্যায়ণ করছেন না? নাকি ঠিক মতো ডাটা এন্ট্রি করতে পারছেন না। পুনঃনিরীক্ষণ এ আবদেন করার পরও তারা কি খাতা দেখছেন না? নাকি এটা শুধুই মাত্র টাকা ইনকামের একটা সোর্স? এটা বলার কারণ, যারাই পুনঃনিরীক্ষণে আবেদন করেছেন কারোরই রেজাল্ট পরিবর্তন হয় না। কেনো?
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কতৃপক্ষের কাছে আরজি জানাই; সঠিক ভাবে খাতার মূল্যায়ণ করুন, ঠিক ভাবে নম্বর পত্র ডাটা এন্ট্রি করুন। শিক্ষার্থীদের জীবন নিয়ে খেলবেন না। তাদের কষ্ট আপনারা বুঝবেন না। আশা করি সঠিক
মূল্যায়নটুকু করবেন।
লেখাঃ ভুক্তভোগী একজন শিক্ষার্থী
(জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়)
সংগৃহিত