এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার বিষয়ে বিজ্ঞানসম্মতভাবে সিদ্ধান্ত
শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, এ বছরের এসএসসি, এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা নেওয়ার বিষয়টি বিজ্ঞান সম্মতভাবে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। শিগগিরই এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানানো হবে। আমরা কভিড-১৯ সংক্রান্ত জাতীয় পরামর্শক কমিটির পরামর্শ গ্রহণ করেই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে থাকি। করোনার এই কঠিন সময়ে শিক্ষার্থীদের ক্লাসে নিয়ে ঝুঁকির মধ্যে ফেলতে পারেন না বলেও মন্তব্য করেন মন্ত্রী।
বুধবার (৩০ জুন) বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (ক্র্যাব) আয়োজিত ‘ক্র্যাব শিক্ষাবৃত্তি ২০২১’ অনুষ্ঠানে ভার্চুয়াল মাধ্যমে যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে শামস-সন্ধ্যা ট্রাস্টের সহযোতিগায় ক্র্যাবের প্রয়াত ও অস্বচ্ছল সদস্যদের ১০ জন মেধাবী সন্তানকে শিক্ষাবৃত্তি বাবদ ৫ হাজার টাকা করে প্রদান করা হয়।
ক্র্যাব সভাপতি মিজান মালিকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই বৃত্তি প্রদান অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার এ কে এম হাফিজ আক্তার। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন ক্র্যাবের সাধারণ সম্পাদক আলাউদ্দিন আরিফ।
অনুষ্ঠানে ক্র্যাব সভাপতি মিজান মালিক ক্র্যাবের কল্যাণকর কাজে শিক্ষামন্ত্রীর সহযোগিতা কামনা করেন। এছাড়া ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা বাস্তবায়নে তিনি সবার সহযোগিতা কামনা করেন। এ প্রেক্ষিতে মন্ত্রী ক্র্যাবের পাশে থাকার প্রত্যয় ব্যক্ত করে বলেন, করোনা পরিস্থিতি চলমান থাকলে ভার্চুয়ালি যেকোনো অনুষ্ঠানে যুক্ত হবেন, পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে তিনি সরাসরি ক্র্যাবের যেকোনো কর্মকাণ্ডে অংশ নেবেন।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) এ কে এম হাফিজ আক্তার বলেন, ক্র্যাব ও পুলিশ অবিচ্ছেদ্য অংশ। আজ যে সময় সন্তানরা বৃত্তি পাচ্ছে, তখন তাদের বাবা নেই। এই সন্তানরাই একদিন অনেক বড় হবে। সামাজিক কাঠামোর ব্যাপক পরিবর্তন হচ্ছে। আমরা সমাজের আলো দেখতে চাই। তিনি সকলকে সুরক্ষা সামগ্রী ব্যবহারের আহবান জানান। বৃত্তিপ্রাপ্ত ক্র্যাব সদস্য সন্তানদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, পড়ালেখা করতে হবে। ভালো বন্ধুদের সঙ্গে মিশতে হবে। মাদক থেকে দূরে থাকতে হবে। আগামীতে ক্র্যাবের সঙ্গে একযোগে কাজ করার আশাবাদ ব্যক্ত করে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেওয়ার আশ্বাস দেন তিনি।
এদিকে বিজ্ঞানসম্মতভাবে বর্তমান সময়ে চলতে হবে উল্লেখ করে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, বিজ্ঞানকে অস্বীকার করে বৈশ্বিক সংকট করোনা মহামারির মধ্যে চলতে পারি না। বিজ্ঞান বলছে শতকরা ৫ শতাংশ বা তার কমে সংক্রমণের হার না নামা পর্যন্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা স্বাস্থ্যসম্মত নয়। বিজ্ঞানসম্মত নয়। এখন সংক্রমণের হার প্রায় ২৪ শতাংশ। কোনো কোনো জেলায় সংক্রমণ ৫০ শতাংশ বা তারও ঊর্ধ্বে। এই সময় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার দাবি আদৌ যৌক্তিক কী না তা ভেবে দেখার দরকার আছে।