চার শতাধিক এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের জন্য দুঃসংবাদ
এমপিও নীতিমালা অনুসারে কোনো এমপিওভুক্ত প্রতিষ্ঠানে নির্দিষ্টসংখ্যক শিক্ষার্থী পাস করতে হয়। মফস্বল শহরের দাখিল মাদরাসার ক্ষেত্রে এমপিওভুক্ত হতে ১৮ জন পরীক্ষার্থী দাখিল পরীক্ষায় অংশ নেয়া ও ৫৫ শতাংশ শিক্ষার্থী পাস করার বাধ্যবাধকতা আছে। আর মফস্বল এলাকার মাধ্যমিক স্কুলের ক্ষেত্রে ২৫ জন পরীক্ষার্থী ও ৫৫ শতাংশ পাসের হার বাধ্যতামূলক।
প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তির আদেশে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বলা হয়, নীতিমালা অনুযায়ী যোগ্যতা বাজায় রাখতে না পারলে প্রতিষ্ঠানগুলো এমপিও স্থগিত হবে।
এদিকে চলতি বছরের এসএসসি ও সমমান পরীক্ষায় সারা দেশের ৪৮টি স্কুল ও মাদরাসার কোনো শিক্ষার্থী পাস করতে পারেননি। এ প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে ৪১টি মাদরাসা ও ৭টি স্কুল। এসব প্রতিষ্ঠানের বেশিরভাগই এমপিওভুক্ত। ৪৮ প্রতিষ্ঠানের মধ্যে এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারী আছে চার শতাধিক।
সে অনুযায়ী শূন্য পাস করা প্রতিষ্ঠানগুলো এমপিও স্থগিত বা শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা স্থগিত করার প্রক্রিয়া শুরু করেছে এই দুই অধিদপ্তর।
এ বিষয়ে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মাধ্যমিক শাখার সহকারী পরিচালক এস এম জিয়াউল হায়দার হেনরী গণমাধ্যমকে বলেন, সারা দেশ থেকে শূন্য পাস প্রতিষ্ঠানগুলোর তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে। সব প্রতিষ্ঠানের তথ্য পেলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার প্রক্রিয়া শুরু হবে।
তিনি বলেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের এমপিওভুক্তির ক্ষেত্রে সুনির্দিষ্ট কিছু নিয়ম আছে। যেগুলো এমপিওর যোগ্যতা হিসেবে বিবেচিত হয়। ওই যোগ্যতা ধরে রাখতে না পারলে প্রতিষ্ঠানের এমপিও স্থগিত করা হয়। এতে ওসব প্রতিষ্ঠানে কর্মরত শিক্ষক কর্মচারীদের বেতন ভাতা বন্ধ হয়ে যাবে।