দেশের ১৬ জেলায় ৬০ কিলোমিটার বেগে ঝড়ের সঙ্গে বজ্রসহ বৃষ্টিপাত হতে পারে।
তাই এসব অঞ্চলের নদীবন্দরগুলোকে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
সোমবার (২৬ জুন) দুপুর ১টা পর্যন্ত দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরগুলোর জন্য দেয়া আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয় রাজশাহী, পাবনা, টাঙ্গাইল, ময়মনসিংহ, ঢাকা, ফরিদপুর, যশোর, কুষ্টিয়া, খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার এবং সিলেট জেলার ওপর দিয়ে দক্ষিণ অথবা দক্ষিণ-পূর্বদিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। একই সঙ্গে বৃষ্টি অথবা বজ্রবৃষ্টি হতে পারে। তাই এসব এলাকার নদীবন্দরগুলোকে ১ নম্বর সতর্কসংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
এ সময় সারাদেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।প্রিয়জনদের সঙ্গে ঈদ উদযাপন করতে রাজধানী ছাড়তে শুরু করেছে মানুষ। বাস ও লঞ্চের পাশাপাশি কমলাপুর রেলস্টেশনেও যাত্রীদের চাপ বেড়েছে। প্রথম দুদিন (শনি ও রোববার) যাত্রীদের তেমন ভিড় দেখা না গেলেও আজ (সোমবার, ২৬ জুন) যাত্রীর চাপ বেড়েছে। ভোর থেকেই যাত্রীর চাপ কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে।
তবে টিকিটবিহীন যাত্রীদের ক্ষেত্রে এবার কড়াকড়ি করা হয়েছে। কোনো যাত্রী বিনা টিকিটে স্টেশন এলাকায় প্রবেশ করতে পারছেন না।
রেল কর্তৃপক্ষ বলছে, সোমবার দিনের প্রথম আন্তনগর ধূমকেতু এক্সপ্রেসের মাধ্যমে ঈদুল আজহায় ঈদযাত্রা শুরু হবে। এদিন ৫০ হাজারের বেশি মানুষ ট্রেনযোগে বিভিন্ন গন্তব্যের উদ্দেশ্যে ঢাকা ছাড়বেন।
অন্যদিকে এবারের ঈদযাত্রার তৃতীয় দিনেও নেই কোনো অভিযোগ। যথা সমায়েই ট্রেন ছেড়ে যাচ্ছে স্ব স্ব গন্তব্যের উদ্দেশ্যে। কথা হয় তিস্তা এক্সপ্রেসের যাত্রী নাঈম বিন আনাসের সঙ্গে। তিনি বলছেন, এবার স্টেশন এলাকায় শৃঙ্খলা রয়েছে। যাত্রী ছাড়া কেউ স্টেশনে প্রবেশ করতে পারছেন না। আবার ট্রেনও যথা সময়ে ছেড়ে যাচ্ছে। এটা ঈদের আগে বাড়তি আনন্দ।মহানগর প্রভাতীর যাত্রী রাকিব হাসান বলেন, আজকে মানুষের ভিড় বেশি। তারমধ্যে ট্রেনে কোনো সিট নেই। ফলে দীর্ঘ পথ ট্রেনে দাঁড়িয়ে যেতে হবে। তবে সব কষ্ট সার্থক হবে যদি ঠিকমতো বাড়ি পৌঁছাতে পারি।
এর আগে গত ১৪ জুন থেকে আন্তনগর ট্রেনের ঈদযাত্রার অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু হয়। রেলওয়ের পরিকল্পনা অনুযায়ী ১৪ জুন দেওয়া হয় ২৪ জুনের টিকিট। একইভাবে ১৫ জুন দেওয়া হয় ২৫ জুনের, ১৬ জুন ২৬ জুনের, ১৭ জুন ২৭ জুনের এবং ১৮ জুন দেওয়া হয় ২৮ জুনের অগ্রিম টিকিট।
আর ঈদযাত্রার ট্রেনের ফিরতি অগ্রিম টিকিট দেওয়া শুরু হয় ২২ জুন থেকে। সেই হিসাবে ২২ জুন দেওয়া হয় ২ জুলাইয়ের টিকিট। যথাক্রমে ২৩ জুন ৩ জুলাইয়ের, ২৪ জুন ৪ জুলাইয়ের, ২৫ জুন ৫ জুলাইয়ের ও ২৬ জুন ৬ জুলাইয়ের টিকিট দেওয়া হচ্ছে ফিরতি ট্রেনের টিকিট।
এবারও ঈদযাত্রায় আসনবিহীন বা স্ট্যান্ডিং টিকিট বিক্রি হবে মোট আসনের ২৫ শতাংশ। ঢাকা, ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট, বিমানবন্দর ও জয়দেবপুর স্টেশন থেকে এসব টিকিট পাওয়া যাবে। শুধু যাত্রা শুরুর দিন আসনবিহীন টিকিট স্টেশনের কাউন্টার থেকে কেনা যাবে। এবার ঈদযাত্রায় ঢাকা থেকে আন্তনগর ট্রেনে প্রতিদিন প্রায় ২৯ হাজার আসনের টিকিট বিক্রি হবে। আর কমিউটার ও আন্তঃনগর মিলে প্রায় ৫০ হাজারের অধিক মানুষ ঢাকা ছাড়বেন আজ।
এবার ট্রেনের অগ্রিম টিকিট শতভাগ অনলাইনে দেওয়া হলেও টিকিট বিক্রিতে কিছুটা পরিবর্তন আনা হয়। অনলাইনে দুই ভাগে দেওয়া হয় অগ্রিম টিকিট।
ঈদযাত্রায় পশ্চিমাঞ্চলে চলাচল করা সব আন্তনগর ট্রেনের অগ্রিম টিকিট অনলাইনে পাওয়া যায় সকাল ৮টা থেকে। আর দুপুর ১২টা থেকে পূর্বাঞ্চলে চলাচল করা ট্রেনের টিকিট অনলাইনে বিক্রি হয়।
কমলাপুর স্টেশন ম্যানেজার মাসুদ সারওয়ার বলেন, গত কয়েক দিনের তুলনায় আজকে যাত্রীর চাপ বেড়েছে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে যাত্রীর চাপ আরও বাড়বে। সকাল থেকে সবগুলো ট্রেন সময় মতো ছেড়ে গেছে।