সরকারি চাকরিজীবীরা বিশেষ বেতন (বিশেষ প্রণোদনা) হিসেবে মূল বেতনের ৫ শতাংশ পাচ্ছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য অর্থমন্ত্রীকে নির্দেশনা দিয়েছেন।
রবিবার (২৫ জুন) প্রস্তাবিত ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেটের ওপর সমাপনী আলোচনায় অংশ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী এ নির্দেশনা দেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সরকারি কর্মচারী যারা আছেন, তাদের বিশেষ বেতন হিসেবে মূল বেতনের ৫ শতাংশ এ আপৎকালীন সময়ে প্রদানের বিষয়টি বিবেচনার করার জন্য অর্থমন্ত্রীকে অনুরোধ জানাচ্ছি।
জাতীয় সংসদের হুইপ ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন এমপি বলেছেন, জান দেব কিন্তু ভূমি দেব না, জান দেব কিন্তু জলসীমা দেব না, জান দেব কিন্তু সার্বভৌমত্ব বিক্রি করব না, জান দেব কিন্তু শহীদের রক্তের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করব না, জান দেব কিন্তু জাতির পিতার আত্মার সঙ্গে বেইমানী করব না।
আজ রবিবার চট্টগ্রাম মহানগরের ইপিজেড থানা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির ভাষণে তিনি আরো বলেন, পৃথিবীর যেকোনো দেশে অন্য দেশের এক প্লাটুন সৈন্যের উপস্থিতিও সে দেশের সার্বভৌমত্ব নিরঙ্কুশ করতে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে। যত বড় বন্ধুই হোক এক দেশের সৈন্য অন্য দেশে একবার আসন ঘাঁটি করলে তাদের সহজে ফেরত পাঠানো যায় না। ১৯৪৫ সালে সমাপ্ত দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর আজ পর্যন্ত জার্মানি, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়ার মত শিল্পোন্নত, ধনী রাষ্ট্রে বন্ধু আমেরিকার সৈন্য বাহিনী অবস্থান করছে।
বন্ধুরা এখনো ফিরে যাননি। সৌদি আরব, কুয়েত, ইরাক থেকেও ফিরে যাননি। আফগানিস্তান দুই বার যুদ্ধ করে দুই পরাশক্তির সৈন্য ফেরত পাঠিয়েছে। এজন্য আফগানিস্তানকে বহু ত্যাগ স্বীকার করতে হয়েছে।
‘
আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন বলেন, ‘কেবলমাত্র আমাদের জাতির পিতা তাঁর বহুমাত্রিক রাজনৈতিক প্রজ্ঞা দিয়ে আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধে সর্বাত্মক সহায়তাকারী পরীক্ষিত বন্ধু ভারতের মিত্রবাহিনী মাত্র ৩ মাসের মধ্যে নিজ দেশে সসম্মানে ফেরত পাঠাতে সক্ষম হয়েছিলেন। পৃথিবীর ইতিহাসে এই ঘটনা বিরল এবং একমাত্র ঘটনা। আমাদের স্বাধীনতার জন্য জাতির জনক সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকার করেছেন। এক সাগর রক্তে আমাদের মাটি রক্তস্নাত হয়েছে।
দুই লক্ষ মা-বোন সম্ভ্রম হারিয়েছেন। স্বাধীনতার জন্য, সার্বভৌমত্বের জন্য পৃথিবীর আর কোনো জাতিকে এতো ত্যাগ স্বীকার করতে হয়নি। সেই দেশের এক ইঞ্চি মাটিও অন্য দেশকে ব্যবহার করতে দেওয়ার অর্থ জাতির পিতা, ত্রিশ লক্ষ শহীদ ও দুই লক্ষ মা-বোনের সম্ভ্রমের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করা। জাতির পিতার কন্যা মাটি ও মানুষের সঙ্গে বেইমানী করতে শেখেননি।’
তিনি বলেন, ‘আমরা সকল দেশের সঙ্গে সমমর্যাদার বন্ধুত্বপূর্ণ পরিবেশে একযোগে কাজ করতে প্রস্তুত।
কিন্তু কারো দাসত্ব বাঙালি জাতি মেনে নেবে না। এমনকি পুতুল সরকার বসালেও তার বাংলার মাটি অন্য কাউকে দিতে পারবেন না। প্রয়োজনে বাঙালি রক্ত দিয়ে দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষা করবে।’
চট্টগ্রাম নগরীর ইপিজেড এলাকায় রেইনবো কমিউনিটি সেন্টারে অনুষ্ঠিত এ’সম্মেলনের উদ্বোধন করেন চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মো. মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী। প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য দেন মহানগর সাধারণ সম্পাদক, সাবেক মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন। থানা আওয়ামী লীগের আহবায়ক হারুনুর রশীদের সভাপতিত্বে ও যুগ্ম আহ্বায়ক আবু তাহেরের সঞ্চালনায় এ সম্মেলনে আরও বক্তব্য রাখেন এম.এ লতিফ এমপি, মহানগর সহসভাপতি নঈম উদ্দিন চৌধুরী, আলতাফ হোসেন বাচ্চু, কার্যনির্বাহী সদস্য কামরুন হাসান বুলু, হাজী রোটারিয়ান মো. ইলিয়াছ, আবু তাহের, আসলাম হোসেন, জিয়াউল হক সুমন, ফরিদ আহমদ বাবর, অ্যাড. শামসুল আলম, মো. সেলিম আফজল, শারমিন সুলতানা ফারুক। সভামঞ্চে উপস্থিত ছিলেন, চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য সফর আলী, চৌধুরী হাসান মাহমুদ হাসনী, শফিকুল ইসলাম ফারুক, চন্দন ধর, মসিউর রহমান চৌধুরী, হাজী জহুর আহমেদ, আবু তাহের, নির্বাহী সদস্য মো. জাবেদ প্রমুখ।
সম্মেলনের দ্বিতীয় অধিবেশনে কাউন্সিলরদের স্বতঃস্ফূর্ত সমর্থনে সর্বসম্মতিক্রমে সুলতান নাছির উদ্দীনকে সভাপতি ও সেলিম আফজলকে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন।
উচ্চমাত্রার মূল্যস্ফীতি জাতীয় বাজেটসহ দেশের অর্থনীতিতে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিরোধী দলীয় নেতা রওশন এরশাদ। তিনি বলেছেন, এ মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ না করা গেলে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। বাজেটের যথাযথ বাস্তবায়ন কঠিন হয়ে পড়বে।
আজ রবিবার জাতীয় সংসদ অধিবেশনে ২০২৩-২৪ অর্থ বছরের প্রস্তাবিত বাজেটের ওপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে এ কথা বলেন তিনি।
রওশন এরশাদ বলেন, ‘বাংলাদেশের অর্থনীতিতে বর্তমানে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে উচ্চমাত্রার মূল্যস্ফীতি। এটি বেড়ে ৯ দশমিক ৯৪ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। গত মে মাসে মূল্যস্ফীতির এই হার দাঁড়িয়েছে। এই হার গত প্রায় এক যুগের মধ্যে সর্বোচ্চ।
আগামী অর্থবছরের জন্য মূল্যস্ফীতির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৬ শতাংশ। এটি অর্জন করতে হলে এখন থেকেই বিভিন্ন বাস্তবসম্মত ও কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। মূল্যস্ফীতি যদি ঠিক মতো নিয়ন্ত্রণ না করা যায়, তাহলে অন্যান্য অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে সরকারের আশু হস্তক্ষেপ এখনই কামনা করছি।
‘
তিনি আরো বলেন, ‘প্রস্তাবিত বাজেটে বিদেশি ঋণের সুদ পরিশোধে বরাদ্দ রাখা হয়েছে ১২ হাজার ৩৭৬ কোটি টাকা। বাংলাদেশের বৈদেশিক ঋণগ্রহণ ও স্থিতি গত কয়েক বছর ধরে দ্রুত বাড়ছে। সরকারি ও বেসরকারি উভয় খাতেই এ ঋণ প্রবাহ বাড়ছে। এমনিতেই বেশ কিছু বড় প্রকল্পের ঋণ পরিশোধ শুরু হবে ২০২৩-২৪ অর্থ বছর থেকে। তারমধ্যে যদি এ ঋণ বাড়তে থাকে, তাহলে অচিরেই বাংলাদেশে বৈদেশিক ঋণ পরিস্থিতির ক্ষেত্রে আর স্বস্তিদায়ক অবস্থা থাকবে না।
তাই এ বিষয়ে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণে সরকারকে আহ্বান জানাচ্ছি।’
কর্মসংস্থান বাড়ানোর প্রতি গুরুত্বারোপ করে রওশদ এরশাদ বলেন, ‘দেশের এক কোটি মানুষের আয়কর দেওয়ার ক্ষমতা রয়েছে। করনেট বাড়ানো গেলে বাজেট বাস্তবায়ন সহজ হবে। একইসঙ্গে নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে নতুন উদ্যোগ নেওয়া সম্ভব হবে।’
ভূমি ভবনের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত সভা
ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী বলেছেন আধুনিক জরিপ কাজে দক্ষ বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের সাথে যৌথভাবে কাজ করেই বাংলাদেশ ডিজিটাল জরিপ (বিডিএস) সারা দেশে রোল-আউট করা হবে। সরকার মনে করে যৌথভাবে ক্যাডাস্ট্রাল জরিপ (ভূমি সম্পদ জরিপ) করাটাই জনস্বার্থে সবচেয়ে কার্যকর ও দক্ষ এবং অর্থনৈতিকভাবে যথাযথ হবে।
আজ রবিবার রাজধানীর তেজগাঁওয়ে অবস্থিত ভূমি ভবনের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত এক সভায় বক্তব্য রাখার সময় তিনি এসব কথা বলেন। ভূমি সচিব মো. খলিলুর রহমান এসময় উপস্থিত ছিলেন।
মন্ত্রী বলেন, ‘পটুয়াখালীতে বাংলাদেশ ডিজিটাল সার্ভে (বিডিএস) শুরু করার মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে সারা দেশে নতুন প্রযুক্তি ব্যবহার করে জরিপ শুরু করার পূর্বে যেন ছোটোখাটো ভুলত্রুটির সমাধান বের করে সারাদেশে যতটা সম্ভব ত্রুটিহীন জরিপ কার্যক্রম শুরু করা যায়।[‘ ভূমিমন্ত্রী আশাপ্রকাশ করেন যে, ভূমি রেকর্ড ও জরিপ অধিদপ্তর ও বিডিএস সংশ্লিষ্ট প্রকল্পের সরকারি কর্মকর্তারা এবং জরিপ কাজে সহায়তায় বেসরকারি খাত থেকে নিয়োগপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠানে কর্মরত সবাই দায়িত্ব পালনে নিজের সেরাটা দিবেন।
ড্রোনসহ অন্যান্য অত্যাধুনিক প্রযুক্তির সাহায্যে সম্পাদিত বিডিএস-এ যেমন সময় কম লাগবে, তেমনি দুর্নীতির সম্ভাবনাও কমবে। ডিজিটাল ম্যাপ প্রস্তুত করার পর খসড়া খতিয়ান প্রস্তুত ও প্রদানের কাজও ডিজিটাল পদ্ধতিতে সম্পন্ন করা হবে।
বিডিএস-এর অন্যতম উল্লেখযোগ্য দিক হল স্মার্ট ম্যাপ, যেখান থেকে ম্যাপে ক্লিক করেই সংশ্লিষ্ট প্লটের মালিকানার তথ্য পাওয়া যাবে।
এর আগে অনুষ্ঠিত এপিএ চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখার সময় সাইফুজ্জামান চৌধুরী ভূমি কর্মকর্তাদের নাগরিক সেবার কথার কথা বিবেচনা করে ভূমি সেবায় ক্রমাগত উন্নয়নের উপর জোর দিতে বলেন। তিনি কর্মকর্তাদের দেশের উন্নয়নে সরকারের পরিকল্পনার সাথে একই ধারায় থেকে মাঠ পর্যায়ে কাজ করে যেতে বলেন। উপস্থিত দপ্তর/সংস্থা প্রধানদের এপিএ টার্গেট পূরণ করার জন্য প্রয়োজনে ‘টপ-ডাউন’ মেথডে ‘আউট-অফ-দ্য-বক্স’-এ এসে কাজ করার পরামর্শ দেন ভূমিমন্ত্রী।
ভূমি সচিব এসময় দক্ষতা, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিতকরণের মাধ্যমে বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি অনুযায়ী কার্যক্রমসমূহ বাস্তবায়নের দৃঢ় অঙ্গিকার ব্যক্ত করেন।
এপিএ চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে ভূমি মন্ত্রণালয়ের আওতাভুক্ত দপ্তর/সংস্থার প্রধানসহ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে ভূমি আপিল বোর্ডের চেয়ারম্যান এ কে এম শামিমুল হক ছিদ্দিকী, ভূমি সংস্কার বোর্ডের চেয়ারম্যান মো. আবু বকর ছিদ্দীক, ভূমি রেকর্ড ও জরিপ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. আব্দুল বারিক, ভূমি প্রশাসন প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের পরিচালক মো. আরিফ ও হিসাব নিয়ন্ত্রক (রাজস্ব) দপ্তরের হিসাব নিয়ন্ত্রক (রাজস্ব) মো. মশিউর রহমান নিজ নিজ দপ্তর/সংস্থার পক্ষে ভূমি মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে এপিএ চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন। অপরপক্ষে, ভূমি সচিব ভূমি মন্ত্রণালয়ের পক্ষে স্বাক্ষর করেন।
গুজবে কান না দিতে দেশবাসীর প্রতি পররাষ্ট্রমন্ত্রীর আহ্বান।
গুজবে কান না দিতে দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন। তিনি বলেছেন, গুজবে কান দেবেন না। দেশের অমঙ্গল ডেকে আনবেন না। দেশের অভ্যন্তরীণ ও আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা অর্জনের জন্য আমরা আপনাদের সহযোগিতা চাই।
কোনো দুষ্টু লোকের সরকারের প্রতি বিদ্বেষ থাকতে পারে। যে কারণে তারা দেশকে ধ্বংস করার দিকে অগ্রসর হচ্ছে। সাবধান, দেশ ধ্বংস করলে আপনারও ক্ষতি হবে।
আজ রবিবার জাতীয় সংসদ অধিবেশনে প্রস্তাবিত বজেটের ওপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে এ সব কথা বলেন তিনি।
আবদুল মোমেন বলেন, ‘আমরা আশা করব, কুচক্রি মহল যারা দেশের অনিশ্চয়তা সৃষ্টি করতে চায়, তাদের আপনারা (জনগণ) রুখে দাঁড়াবেন। আপনারা বারবার প্রমাণ করেছেন কোনো বিদেশি শক্তির কাছে পরাজিত হননি। এবারো বিদেশি সব ধরনের ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করে উন্নত ও সমৃদ্ধ দেশ গড়ে তুলব।’
তিনি আরো বলেন, ‘আগামীতে আমরা অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অবশ্যই করব।
গত কয়েকটি নির্বাচনে তার প্রমাণ দিয়েছি। এগুলোর প্রত্যেকটি অবাধ, সুষ্ঠু ও সহিংসতামুক্ত হয়েছে। গত সাড়ে ১৪ বছরে দেশের যে উন্নয়ন হয়েছে, তা ধরে রাখার জন্য রাষ্ট্রীয় ও আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা প্রয়োজন। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় রাষ্ট্রীয় ও আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার ওপর জোর দিচ্ছে। যাতে করে কোনো ধরনের উন্মাদনা ও সন্ত্রাসী তৎপরতা এবং আর্থ-সামাজিক অস্থিতিশীলতার কারণে রাষ্ট্রীয় এবং আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা বিঘ্ন না হয়।
বিভিন্ন গোষ্ঠী দেশের স্থিতিশীলতা নষ্ট করার জন্য বহু উদ্যোগ নিয়েছে। তাদের থেকে সাবধান।’
অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি হলে দেশের অসামান্য অর্জন ভেস্তে যাবে বলে দাবি করে আবদুল মোমেন বলেন, ‘দেশে অরাজকতা সৃষ্টি হলে জনগণের দুঃখ-দুর্দশা বাড়বে। যে সব দেশ স্থিতিশীল তাদের জনগণ সুখে আছে। যে সব দেশে অশান্তি সৃষ্টি হয়েছে, সেখানকার জনগণ কষ্টে আছে।’
বাজেটে আয় ও আয়কর দাতা বাড়ানোর আহ্বান জানিয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রী বলেন, ‘সব বাংলাদেশি নাগরিকের জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) আছে, তারা প্রত্যেকে যেন ট্যাক্স রিটার্ন দাখিল করেন। আর যারা ২৫ হাজার টাকার ঊর্ধ্বে লেনদেন করেন, তারা যেন ব্যাংক বা চেকের মাধ্যমে লেনদেন করেন। তাহলে সরকারের হিসাব থাকে।’
সার্বিক উন্নয়নের জন্য সরকারের গৃহীত প্রকল্পগুলো বাস্তবায়নের জন্য আরো দক্ষ হতে হবে বলে মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘অনেক সময় প্রস্তাবিত প্রকল্পের মেয়াদ দীর্ঘায়িত হয়। এতে করে প্রকল্পের ব্যয়ের পাশাপাশি সরকারের ব্যয়ও বাড়ে। তাই প্রকল্পগুলো নির্ধারিত সময়ের মাঝে শেষ করার জন্য আরও বেশি তদারকির প্রয়োজন।’ এ ব্যাপারে দৃষ্টি দেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।