PET এর জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্রঃ
PET এর জন্য ডেইট এবং ভেন্যু সংক্রান্ত এসএমএস সকলে ইতোমধ্যে পেয়েছেন। যারা অনলাইন স্ক্রিনিংয়ের এসএমএস পেয়েছিলেন কিন্তু PET এর এসএমএস পাননি,তারা অনলাইন স্ক্রিনিংয়ের আইডি, পাসওয়ার্ড দিয়ে PET এর ফর্ম ডাউনলোড করতে পারবেন।
PET এর জন্য কাগজপত্র নিয়ে আপনাদের মধ্যে নানান ধরনের প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে। PET ৩ দিন ধরে হবে। তাই সব কাগজপত্র এই ৩ দিনের মধ্যে থাকা বাধ্যতামূলক। প্রথম ২ দিন সব কাগজ না থাকলেও ৩য় দিন অবশ্যই থাকতে হবে, না হলে বের করে দিবে। এবার আসুন কি কি কাগজ লাগবে তা জেনে নেয়া যাক।
১) Admit for Physical Endurance Test (PET) ফর্মের ২ কপি।সম্ভব হলে কালার প্রিন্ট করে নিবেন। সাদা কালো হলেও সমস্যা নেই। তবে সাদা কালো হলে আপনার ছবির সাথে অনেক সময় আপনার ফেস না মিলার সম্ভাবনা থাকে।
২) সকল শিক্ষাগত যোগ্যতা সনদের মুলকপি। কারো যদি মুল সনদ না থাকে সেক্ষেত্রে সাময়িক সনদ বা প্রভিশনাল সার্টিফিকেট (Provisional Certificate) হলেও চলবে। কারো যদি ২ টার কোনটাই না থাকে, তাহলে সমস্যা হবে। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের যাদের রেজাল্ট বের হয়েছে, কিন্তু কনভোকেশন হয়নি, তারা ভাইস চ্যান্সেলর, বিভাগীয় প্রধানের লিখিত প্রত্যয়ন নিতে পারেন। আর জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের যারা তারা চাইলে তাদের সংশ্লিষ্ট প্রশাসনিক বিভাগের হেড ক্লার্কের সাথে যোগাযোগ করে, কিছু টাকা খরচ করে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়,গাজীপুর হতে দ্রুত সময়ের মধ্যে Provisional Certificate নিতে পারবেন।
৩) সর্বশেষ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধান কর্তৃক প্রদত্ত চারিত্রিক সনদপত্রের মুলকপি। এখানে আপনারা যে ভুল করেন, প্রসংশাপত্র নিয়ে আসেন। ভাবেন এটা দিয়া কাজ চলে যাবে। এই ভুল করবেন না। অবশ্যই চারিত্রিক সনদপত্র নিবেন। যদি কারো ১/২ বছর আগেও নেয়া থাকে, আবার নতুন করে একটা নিবেন। সাধারণত এই গুলো সদ্য সাইন করা হলে ভালো হয়।
৪) নাগরিকতার সনদপত্রের মুলকপি। জেলার স্থায়ী বাসিন্দা প্রমান স্বরুপ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, সিটি করপোরেশনের মেয়র, কাউন্সিলর, পৌরসভার মেয়র, ইউনিয়ন চেয়ারম্যান, ওয়ার্ডের কাউন্সিলর যার ক্ষেত্রে যেটা প্রযোজ্য তার কাছ থেকে নাগরিক সনদপত্র নিতে হবে। অনেকে নাগরিকতার ও চারিত্রিক সনদ নামে এক ধরনের সনদ নিয়ে আসেন। এটা দিয়ে ৩ নং পয়েন্টে প্রদত্ত কাগজের প্রয়োজনীয়তা মিটবে না। তাই এই চারিত্রিক সনদ এর কোন ভ্যালিডিটি নাই।
৫) অনলাইন থেকে ডাউনলোডকৃত প্রার্থীর ইনডেমনিটি ঘোষণাপত্র। অনেকে ভুল করছে এটা ভেবে যে এটা নিলে হয়ত আর অভিভাবক এর সম্মতিপত্র লাগবেনা। বিষয়টি ভুল। ইনডেমনিটি ঘোষণা মুলত, আপনি PET এ অংশগ্রহণ করবেন, ফিজিক্যালি তার জন্য আপনি ফিট আছেন কিনা,যদি PET এর সময় কোন রকম কোন ক্ষতি হয় তার দ্বায় শুধু আপনার এই ঘোষণাপত্র এটি।
অনলাইন ডাউনলোড লিংকঃ
http://police.teletalk.com.bd/sergeant/notice.php
৬) অভিভাবকের সম্মতিপত্র লাগবে। আপনার অভিভাবক আপনাকে সেচ্ছায় এই পেশায় আসতে দিচ্ছে এই মর্মে সম্মতিপত্র।এটিতে অবশ্যই অভিভাবকের স্বাক্ষর এবং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, সিটি করপোরেশনের মেয়র, কাউন্সিলর, পৌরসভার মেয়র, ইউনিয়ন চেয়ারম্যান, ওয়ার্ডের কাউন্সিলর (যার ক্ষেত্রে যেটা প্রযোজ্য) স্বাক্ষরিত হতে হবে।
৭) জাতীয় পরিচয় পত্রের মুলকপি। যদি আপনার জাতীয় পরিচয়পত্র না থাকে তাহলে পিতা- মাতার ভোটার আইডি কার্ড নিয়ে যাবেন। তবে এক্ষেত্রে সমস্যা হলো বেশির ভাগ ক্ষেত্রে দেখা যায় নিজের সার্টিফিকেটে বাবা-মায়ের নামের সাথে বাবা-মায়ের NID এর নামের কোন মিল নেই। এমন হলে চাইলে অনলাইনের কপি প্রিন্ট করে নিয়ে গেলেও সমস্যা নেই।
৮) ১ম শ্রেণির গেজেটেড কর্মকর্তা কর্তৃক সত্যায়িত ০৩ কপি সদ্য তোলা রঙিন ছবি। তবে সাথে আরো কয়েকটা বেশি নিয়ে যাবেন। অনেক সময় ছবি নষ্ট হয়ে যায়। তখন বিপদে পড়ে যাবেন। এই খানে যে ছবি দিবেন চেষ্টা করবেন রিসেন্ট তোলা ছবি দিতে। কেউ একাডেমিতে দাড়ি রাখতে চাইলে এখানে হালকা দাড়ি (ট্রিম করার মত) সহ ছবি দিলে একাডেমিতে দাড়ি রাখতে দিবে।
৯) কম্পিউটারের MS Office, Web Browser, troubleshooting এর উপর কমপক্ষে ৩ সপ্তাহ মেয়াদী প্রশিক্ষণের সনদপত্র। এখানে আপনাদের অনেক কনফিউশান। চেষ্টা করছি দূর করতে। যাদের ব্যাকগ্রাউন্ড CSE বা কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিং সম্পর্কিত তাদের লাগেনা। তবে সম্ভব হলে আপনারাও নিয়ে যাবেন। যাদের কম্পিউটার শেখা শেষ কিন্তু এখনো সনদ পাননি তারা এই যুক্তি দেখায় সুযোগ পাবেন না। অবশ্যই কম্পিউটার সনদ লাগবে। এমন হলে যারা কম্পিউটার শেখায় এমন কোন প্রতিষ্ঠানে ৫০০/১০০০ টাকা দিয়ে একটা বানায় কাজ চালিয়ে নিতে পারেন। তবে খেয়াল রাখবেন যেন সেই প্রতিষ্ঠানের ডাটাবেইজে আপনার তথ্য থাকে।
১০) যারা আবেদনের সময় লার্নারস / ড্রাইভিং লাইসেন্স এর তথ্য দিয়েছেন,তারা লার্নারস / ড্রাইভিং লাইসেন্স নিয়ে যাবেন সাথে।
শুধুমাত্র মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্যঃ
****মুক্তিযোদ্ধার সন্তানের বয়স প্রমার্জনের জন্য মুক্তিযোদ্ধার নাম লাল মুক্তি বার্তায় থাকলে তার সত্যায়িত ফটোকপি। মুক্তিযোদ্ধার নাম ভারতীয় তালিকায় থাকলে তার সত্যায়িত অনুলিপি। মুক্তিযোদ্ধার নামে জারীকৃত গেজেটের মুলকপি।
*****মুক্তিযোদ্ধার সন্তান হলে সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, সিটি করপোরেশনের মেয়র, কাউন্সিলর, পৌরসভার মেয়র, ইউনিয়ন চেয়ারম্যান, ওয়ার্ডের কাউন্সিলর (যার ক্ষেত্রে যেটা প্রযোজ্য) কর্তৃক প্রদত্ত প্রত্যয়নপত্রের মুলকপি।
বিঃদ্রঃ মাঠে অনেক লোক হবে তাই নিজের ফাইল/কাগজপত্রের ব্যাগের উপর নিজের নাম/ ঠিকানা/ মোবাইল নং লিখতে ভুল করবেন না। বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ
[[[[ মোটামুটি সবকিছু বলার চেষ্টা করেছি।তবু কোন বিষয়ে জিজ্ঞাসা থাকলে কমেন্টস বক্সে জিজ্ঞাসা করলে উত্তর দেয়ার চেষ্টা করবো। ]]]]
সকলের জন্য শুভকামনা