প্রাইমারি ‘কোটা’ বিভাজনঃ
প্রথমে বলে নেই, গতকালকেই বললাম ফাইনাল রেজাল্ট নিয়ে ধোঁয়াশা, আর আজকেই কিন্তু মানবজমিন নিউজ করলো। আশা রাখি আমার পোস্টের সত্যতা পেয়েছেন এতদিনে??
এবার বলি, প্রাথমিকের কোটা একটা জটিল হিসাব (আমার মতে)। এও বলি, কোটা ৬০%, ২০% এবং ২০% অবশ্যই অবশ্যই ফলো করবে ডিপিই। মানে নারী ৬০%, পোষ্য ২০% এবং জেনারেল ছেলে ২০%.। আর এই ১০০% এর ২০% বিজ্ঞানের টিচার থাকবে যেটা আদতে কোন কোটা না। বিজ্ঞান বলতে স্নাতক বিজ্ঞান পর্যন্ত।
একটা উপজেলার মোট শুন্য পদে যতজন নিয়োগ পাবে ততজনের ৬০% ২০% এবং ২০% হারে ফাইনালি নিয়োগ পাবে। যদি মোট ১০০ জনের শুন্য আসন থাকে তাহলে নারী ৬০ জন, পোষ্য ২০ এবং ছেলে জেনারেল ২০ জন। সবার মধ্যে ২০ জন বিজ্ঞানের।।।
এখন কথা হলো এই কোটা কতটা সুবিধাজনক হবে?।। ধরেন এক উপজেলার মোট শুন্য আসন ১০০ জন। নারী ৬০ নিতে হবে, কিন্তু নারী ৬০ জন নিতে গেলে তাদের সর্বনিম্ন নম্বর ৪৫ এ আসতে হচ্ছে। আবার জেনারেল মেধাবী ছেলেদের ২০ নিতে গিয়ে দেখা গেল ২০ নম্বর সিরিয়াল যার (মেধাতালিকায়) সে পায় ৬০+। মানে সাধারণ ছেলে ৫৯ পেয়েও জব হলো না, কিন্তু মেয়ে ৪৫ এই জব হয়ে গেল। তাই তো? এমনটা হতেই পারে আপনাদের হিসেবে। যার কারনে অনেকে মেয়েদের অন্য চোখে দেখেন।
আসল বিষয় হলো, কোটা থাকলেও ডিপিইর একটা নম্বরের মানদণ্ড থাকে/থাকবে যাতে কেউ বৈষম্যের শিকার না হয় এবং নিয়োগ বিধিমালা ২০১৯ ও ঠিক থাকে।। এই নম্বরের মানদণ্ড কেউ জানে না। এটা আমি অনেকটা শিওর হয়েই বলতে পারি।।
এবার হিসাবে আসা যাক। ওই ১০০ জনের ৬০ জন নারী বাছাই করতে গিয়ে এবার নম্বর ৪৫ থেকে বাড়িয়ে ৪৮ বা ৫০ এ গিয়ে দেখা গেলো মেয়ে টিকে ৪০ জন। ওইদিক মেধা তালিকার ছেলেদের নম্বর ৬০ থেকে ৫৭ বা ৫৫ এনে দেখা গেলো এবার ছেলে ২০ জন থেকে বেড়ে ৩০ বা ৪০ এ গেলো। মানে বৈষম্য অনেকটাই কমে গেলো।। বাকি কোটাগুলোও এভাবে পূরণ হতে পারে।
কোটা আছে বলে কেউ ৩৫-৪০ এ জব পাবে আর কেউ কোটা নাই বলে ৫৫-৬০ এও পাবে না, এমনটা হবে না।। নির্দিষ্ট মানদণ্ডের কিছুটা কম বেশি হবে। হতে পারে ৫-৬ নম্বর। আর এভাবে কোন কোন ক্ষেত্রে মেয়ের থেকে ছেলে বেশি নিয়োগ পায়।।
মেধাবীদের এবং যার রিযিক আছে তার চাকরি হবেই। নিয়োগ পেলে মিষ্টি খাওয়াবেন, ওকে…..