★দূর্ভিক্ষ,নির্বাচন,করোনা,ব্যাকডেট,নন-ক্যাডার★
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, IMF, সহ জাতিসংঘের মহাসচিব সবাই এক সুরে বলছেন,”দূর্ভিক্ষ আসছে”।
আপনাদের জীবন থেকে করোনায় নিল 2 বছর,করোনার পরে শুরু হলো ১ দিনে ১৫/২০ টা পরীক্ষা এবং আগামী ২১ তারিখ ১৫/১৬ টি চাকরি পরীক্ষা।এখন বলেনতো,একসাথে এতগুলো পরীক্ষার কতটি আপনি দিতে পারবেন?,করোনার পরে দেশের অর্থনীতির অবস্থা ভালো না,তার প্রমান পাচ্ছেন ২০২২ গেল প্রায় বিনা সার্কুলারে,২০২৩ সালে নির্বাচন ও সারা বিশ্বে দূর্ভিক্ষ দেখা দিবে।এখন বলেন সরকার কি নির্বাচন ও দূর্ভিক্ষ সামলাবে নাকি আপনাদের জন্য সার্কুলার দিবে???নিশ্চয়ই ২০২৩ যাবে বিনা সার্কুলারে লিখে রাখেন।
এটার প্রমান তো ২০২২ সালে পেলেন।দেখেন না ব্যাংকের পরীক্ষাগুলো কি করে আটকে গেল।!!অপরদিকে নন-ক্যাডার ভাইদের সাথে করেছে অন্যায় এবং পিএসসি একটা বিসিএস নিতে ৪ বছর লাগিয়ে ফেলে যেখানে আপনি অনার্স করার পরে সময় পান ৩/৪ বছর।
তাছাড়া,কিছুদিন আগে সরকার যাদের বয়স ২০২০ সালে শেষ তাদেরকে ৩৩ বছর ৩ মাস পর্যন্ত আবেদনের সুযোগ করে দিয়েছি[যদিও আমি তাদের ব্যাকডেট বিরোধী না, তবে সবাইকে সমান সুযোগ দিক],কারণ করোনায় আজ যে,৩৩ বছর ৩ মাস পর্যন্ত আবেদনের সুযোগ পেল তারও করোনায় ২ বছর চলে গেল,আপনার ও ২ বছর চলে গেল।তাই কেন শুধু তাঁদেরকে সুযোগ দিবে?এতে করে যাদের বয়স ২৬/২৭/২৮/২৯/২৯.৫ মাস তারা আরও অতিরিক্ত ৭/৮ লাখ প্রতিযোগীর মুখোমুখি হচ্ছেন। বলে রাখা ভালো এই ৭/৮ লাখ ভাইয়েরা কিন্তু যেনতেন প্রতিযোগী না যে আপনি সদ্য অনার্স করে তাদের সাথে প্রতিযোগিতায় পারবেন।যদি আপনি এই ধারণা করেন তাহলে আপনি ভুল ধারণা করে আছেন কারন তারা পরীক্ষা দিতে দিতে অনেক অভিজ্ঞ আর দক্ষ।
মোট কথা হলো,করোনায় ২ বছর,করোনার পরে একসাথে ১০/১৫ টি পরীক্ষা,২০২২ সালের বিনা সার্কুলার,২০২৩ সালের নির্বাচনে ও দূর্ভিক্ষ,যাদের বয়স শেষ তাদেরকে ৩৩ বছর ৩ মাস পর্যন্ত আবেদনের সুযোগ,নন-ক্যাডার ভাইদের সাথে করা অন্যায়,ব্যাংকের ধীরগতির পরীক্ষা নেওয়া,এক বিসিএসে ৪ বছর লাগানো এইগুলা কি আপনার সাথে করা অন্যায় না????আপনি মন থেকে চিন্তা করুন তো বয়স বৃদ্ধি কি দরকার না??যদি এত অন্যায়ের পরও মনে করেন বয়স বৃদ্ধি বা এইগুলা কোন অন্যায় না,তাহলে আপনাকে আমার কিছু বলার নাই কারণ আপনি বিবেকহীন মানুষ।
তাই সবাই বলবো বয়স বৃদ্ধির আন্দোলনে সবাই আসুন।
✅গ্রুপ: চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা ৩৫ চাই